মোঃ রাশেদুল ইসলাম | (সুবর্ণ চর নোয়াখালী) নোয়াখালী সুবর্ণচর উপজেলার ৫নং চরজুবিলী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড দক্ষিণ কচ্ছিয়া গ্রামে (দক্ষিণ হালিম বাজার) এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ কেটে ও বাঁধের পাশের সরকারি গাছ কেটে মাদ্রাসা নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গায় সরকারি বেড়িবাঁধের ভাঙ্গন রোধ করার লক্ষ্যে সামাজিক বন বিভাগ ও স্থানীয় জনগণের গড়ে তোলা বনায়ন, আর সেই বনায়ন অবৈধভাবে রাতারাতি কেটে গড়ে তুলছে মদিনাতুল উলূম নূরানী তা’লিমূল কোরআন নামে একটি মাদ্রাসা ।
যে গাছ পানি উন্নয়ন বোর্ডের ভেড়ী বাদ রক্ষা করে থাকে, একদল স্বার্থান্বেষী মহল সরকারি গাছ কেটে রাতারাতি মাদ্রাসা নির্মাণ করে জায়গা দখলে মেতে উঠেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, এলাকায় পাউবো নির্মিত বেড়ি বাঁধের দুই পাশে বনবিভাগের সরকারি গাছ লাগানো ছিলো, ওই সরকারি গাছ গুলো রাতের আঁধারে কেটে ও বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ কেটে এর ওপরে মাদ্রাসা নির্মাণ করা হয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, এই বেড়ি বাঁধের ওপর দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ ছাড়াও রিকশা, ভ্যান, মোটরসাইকেল মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে।
দক্ষিণ চরকচ্ছিয়া গ্রামে শত বছরের পুরনো সরকারি কাঁচা বেড়ি বাঁধ দখল করে মাদ্রাসা নির্মাণ করায় যাতায়াতের জন্য ব্যবহৃত মেঠোপথটি প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। চরম দুর্ভোগে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ।
অবিলম্বে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে সরকারি বেড়িবাঁধটি উন্মুক্ত করতে স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি দাবি জানিয়েছেন তারা।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।